দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যাচ নিতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ডান হাতের তর্জনীর চোটের কারণে অন্তত ৬ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এজন্য আফগানদের বিপক্ষে সফরের একমাত্র টেস্টে সাকিব থাকছেন না, এটা একপ্রকার নিশ্চিত।

আর সাকিবের এমন ছিটকে যাওয়া বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন টাইগার ভক্তরা। সাকিব বরাবরই দলের সেরা অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন। অধিনায়কত্ব, দলের ব্যাটিং ও বোলিং সব বিভাগেই সাকিবের অবদান অনবদ্য।

টাইগারদের ভক্তদের ভাষ্য, বিশ্ব দরবারে লাল-সবুজের প্রাণ, সাকিব আলা হাসান। বিশ্বকাপ প্রস্তুতি বিবেচনায় দলের এমন চালিকাশক্তির অনুপস্থিতি কারোর কাছেই প্রত্যাশিত না। অধিনায়ক-অলরাউন্ডার সাকিবের রিপ্লেস আদ্যো সম্ভব, এমনটা কল্পনাও করতে পারেন না টাইগার সমর্থকরা।

হঠাৎ ছিটকে যাওয়ায় বাঁ-হাতি এ স্পিনারের (সাকিব) পরিবর্তে একাদশে কে খেলবেন, এ নিয়েও দুশ্চিন্তায় নির্বাচক প্যানেল। সাকিবের অভাব টাইগার শিবিরকে ভোগাবে কি না, এ শঙ্কাও দেখা দিয়েছে ‘হোম অফ ক্রিকেট’ মিরপুরের আনাচে-কানাচে। এও প্রশ্ন জেগেছে, সাকিবকে ছাড়া কেমন হতে পারে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ!

বৃহস্পতিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও সহমত পোষণ করলেন। তার (সুমন) দাবি, সাকিব না থাকলে একটা প্লেয়ার কমে যায়। সাকিব আর মুশফিক দুইজন থাকলে, একটা বাড়তি সুবিধা পাই। তাতে করে আমরা একটা বাড়তি ব্যাটার নিয়ে খেলতে পারি অথবা একজন বোলার বেশি নিয়ে খেলতে পারি। কন্ডিশন অনুযায়ী সেটা আমরা করে থাকি।

সাকিবের অভাবে বোলিং বিভাগও ভুগবে বলে মনে করছেন টাইগারদের সাবেক এ অধিনায়ক। তার (সুমন) মন্তব্য, সাকিবের বোলিং তো বাংলাদেশ ডেফিনেটলি মিস করবে। তবে সাকিব ছাড়া তাইজুল আছে, মিরাজ আছে, তারাও কিন্তু যথেষ্ট ভালো বল করে টেস্ট ম্যাচে। আমাদের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টটা অনেক রিচ। তাই আমাদের যে রকম দরকার, টিম অনুযায়ী কিন্তু ওইরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারি। সেটা নিয়ে অনেক আগেই চিন্তাভাবনা হয়ে গেছে।