দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।

শনিবার (২৭ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়, বিদেশিরাও তাই মনে করেন। এ জন্য বিদেশিরাও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ জেনেছে শেখ হাসিনার অধীনে একটিও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে জনগণ দিনের বেলায় ভোট দিতে পারলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

তিনি বলেন, এ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, গায়ের জোরে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আমাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী বাধা দিচ্ছে। আমরা আশাবাদী, জনগণ প্রস্তুত, অচিরেই গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়ে যাবে। আমরা বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনরত কোনো দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেবে না।

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি আর মেরামত করা সম্ভব নয়। আজকে গরিব মানুষ না খেয়ে আছে, মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে গেছে। তাই দেশের গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, মহিলা দলের সভানেত্রী মির্জা আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বক্তব্য রাখেন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।