দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘সাধারণ ক্ষমায়’ কম আয়কর দিয়ে বিদেশে পাচার করা টাকা দেশে ফেরানোর সুযোগ আর থাকছে না। একইসঙ্গে বিদেশে রক্ষিত স্থাবর সম্পদ রিটার্নে প্রদর্শনের সুযোগও বাতিল হচ্ছে। 

এ দুটো বিশেষ সুবিধার মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্দেশনা দেননি।

চলতি বাজেটে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল- সাধারণ ক্ষমায় বিনাপ্রশ্নে বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেয়া। ২০২২-২৩ প্রস্তাবিত বাজেটে ৩ ভাবে ট্যাক্স অ্যামনেস্টি দেওয়া হয়।

প্রথমত; বিদেশে স্থাবর সম্পত্তি রিটার্নে ১৫ শতাংশ আয়কর দিয়ে প্রদর্শন। দ্বিতীয়ত; ১০ শতাংশ কর দিয়ে অস্থাবর সম্পত্তির প্রদর্শন। তৃতীয়ত; কেউ বিদেশ থেকে টাকা দেশের আনলে সেই টাকার ওপর ৭ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন। বাজেট ঘোষণার পর সব মহলের তীব্র সমালোচনার কারণে সরকার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। শুধুমাত্র ৭ শতাংশ কর দিয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পাচার করা ফেরানোর সুযোগ বহাল রাখে।

গত ১০ মাসে একজনও পাচার করা টাকা দেশে না ফেরানোয় এনবিআর ২০২৩-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সুবিধাটি উঠিয়ে দিতে চাচ্ছে। তাই অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়ে কোন দিক-নির্দেশনা দেননি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতো কষ্ট করে যারা বিদেশে টাকা (পাচার) নিয়ে গেছে, তারা নিশ্চয় ফেরত আনার জন্য নেয়নি।
বাজেটে দেয়া কর ছাড়ে টাকা ফেরত আসবে সেটা প্রত্যাশা করা বোকামি। তাছাড়া পাচার করা টাকাই রেমিট্যান্স হিসেবে আনলে সরকারই আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে, আবার টাকাও বৈধ হয়ে যাচ্ছে। তাহলে ৭ শতাংশ কর দিয়ে কেন মানুষ টাকা বৈধ করবে। আগামী বাজেটে এ সুবিধা রাখা উচিত নয়।

Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
যুগান্ত