বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: অর্থমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সম্পদের সীমাবদ্ধতা, ডলারের তীব্র সংকট ও বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অর্থমন্ত্রী দেশকে ‘নিরন্তর সুমহান উচ্চতার সর্বোচ্চ শিখরে’ নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে কৌশল প্রণয়ন করেছেন।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে নিরন্তর সামনে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশ এখন অন্য সব দেশের জন্য উন্নয়নের ‘গ্লোবাল রোল মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে। ২০৪১ সালের আগেই বিশ্বের শীর্ষ ২০তম অর্থনীতির তালিকায় পৌঁছে যাবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বাজেট ঘাটতি মেটাতে ধীরে ধীরে বৈদেশিক খাতের ওপর নির্ভরতা আরও কমানো হবে। নিজস্ব উৎস থেকেই ঘাটতির জোগান বাড়ানো হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগানো হবে। জনগণের জন্য নতুন নতুন আশা ও সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় করা হবে।
সব পেশাজীবীর নাম উলেখ করে তিনি বলেন, সবার প্রচেষ্টায় শূন্য থেকে ধীরে ধীরে মহীরুহে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সব মানুষের আশা, প্রত্যাশা ও উন্নয়ন ভাবনার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যয়ে সাজানো হয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেট। ফলে এ বাজেট জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, এর দ্বারা অর্থনীতিতে সৃষ্ট ক্ষতের কথা উলেখ করতেও তিনি ভোলেননি। পাশাপাশি এগুলো মোকাবিলার কৌশল সম্পর্কেও কথা বলেছেন।
বর্তমানে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংকট এবং সৃষ্ট বহুবিধ সমস্যার মধ্যেও তিনি বেকারদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর কথা বলেছেন। দরিদ্রদের কম দামে ও বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে আর মাত্র ছয় মাস পরই জাতীয় নির্বাচন। ফলে এ বাজেট দুটি সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সময়ই ক্ষমতাসীন সরকার ভোটারবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করে। নির্বাচনি বছরে ভোটারদের খুশি করতে থাকে নানা খাতে করছাড়, প্রাপ্তির মাত্রাও থাকে বেশি। তবে এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে তেমন কিছু করা হয়নি।
আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রী বাজেটে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কমানো বা বাড়ানো, জুলাই থেকে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া ও সুদের হারের সীমা তুলে দেওয়া। এছাড়া রাজস্ব আয় বাড়ানোর পদক্ষেপও তিনি নিয়েছেন।