দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের ওড়িশায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটা ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন, এর মধ্যে চারজন বাংলাদেশিও রয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।

দুর্ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় বালেশ্বর জেলা হাসপাতালে যান কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল।

রোববার (৪ জুন) দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল ও দুই অস্থায়ী মর্গ ঘুরে নিখোঁজ ৪ বাংলাদেশি নাগরিককে এখনও খুঁজে পাননি তারা। তবে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত এবং আতঙ্কিত এমন ৩ বাংলাদেশি নাগরিকের হদিস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ দূতাবাসের তরফ থেকে ইতোমধ্যেই ভারতীয় রেলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, সফরকারি বাংলাদেশি নাগরিকদের টিকিট বুকিংয়ের সময় দেওয়া নাগরিকত্বের পরিচয়কে পৃথক করতে এবং সফরকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিচয় আলাদাভাবে দূতাবাসকে জানানোর জন্য। যদিও রেলের তরফ থেকে এখনও কোনো সাড়া মেলেনি।

ভারতের ইতিহাসে চতুর্থ বড় এ রেল দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, তা জানতে অনুসন্ধান চালায় দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ।

অনুসন্ধান শেষে তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আপ মেইন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এর মধ্যে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কিন্তু মেইন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনো ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।