দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত খুলনা এবং বরিশাল সিটি নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সকাল থেকে বিরামহীন গণসংযোগ করছেন তারা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। জনপ্রিয়তা প্রমাণের লড়াইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

বিএনপি অংশ না নেওয়ায় দুই সিটিতেই সরকারি দলের প্রার্থীর সামনে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তবে বরিশালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন্দলে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) চাপের মুখে আছেন।

অপরদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনেকটাই নির্ভার তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি ছাড়া মেয়র পদে শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় এ সিটিতে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের মধ্যে। যদিও প্রচারণার শেষ দুদিনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতায় এ নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ অনেকটাই বেড়েছে।

শনিবারের প্রচারে নেমে, নিজের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে নৌকায় ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।

এবার ভোট হবে ইভিএমে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। জনগণ যেন নিজের ভোটটা নিজে দিতে পারে সেজন্য সকল পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করবো।

এদিকে, বরিশালে মোট ভোট কেন্দ্র ১২৬টি। এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১০৬টি। এই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য। তাদের পক্ষপাতহীনভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন পুলিশ কমিশনার। এরইমধ্যে নির্বাচনি এলাকায় পৌঁছেছে ১০ প্লাটুন বিজিবি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ১২৬টি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ১১শর বেশি সিসি ক্যামেরা। নগরের নিরাপত্তায় বহিরাগতের নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।