দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সরকারি গোপন নথি নিজের কাছে রাখার অভিযোগে ফেডারেল আদালতে হাজির হতে ফ্লোরিডায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি গোপন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হবে। যদিও ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ‘হাস্যকর’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

 

বিবিসি জানায়, সোমবার রাতটি তিনি মিয়ামির কাছে তার রিসোর্ট ট্রাম্প ন্যাশনাল ডোরালে কাটিয়েছেন। এর আগে নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে নিজের গলফ ক্লাবে ছিলেন তিনি, সেখান থেকে স্থানীয় সময় দুপুরে নিজস্ব বিমানে করে মিয়ামিতে পৌঁছান।

গত সপ্তাহে সীলমোহরমুক্ত করা ৪৯ পৃষ্ঠার অভিযোগে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন প্রসিকিউটর জ্যাক স্মিথের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি মামলা করার জন্য ট্রাম্পের নিজস্ব বিবৃতি ব্যবহার করেছেন।

মঙ্গলবার ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিয়ামির একটি ফেডারেল আদালতে উপস্থিত হবেন ২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য।

এরপর তিনি আইনজীবীদের সাথে দেখা করবেন এবং ফ্লোরিডাভিত্তিক আইনি দলের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার পর সরকারি গোপন নথি নিজের কাছে রাখাসহ এ পর্যন্ত মোট ৩৭টি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনিই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফেডারেল আদালতে অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।

ট্রাম্পের সমর্থকদের বিক্ষোভ সামলাতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফ্লোরিডার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে জরিপ সংস্থা ইপসস এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সের নতুন জরিপ থেকে দেখা গেছে, বেশিরভাগ রিপাবলিকান সমর্থক মনে করেন যে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পাশাপাশি ২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থীদের বিপরীতে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। জরিপ অনুসারে ৮১ শতাংশ রিপাবলিকান সমর্থক মনে করেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া, ৪৩ শতাংশ স্ব-স্বীকৃত রিপাবলিকান সমর্থক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাদের পছন্দের প্রার্থী বলে বেছে নিয়েছেন। বিপরীতে ২২ শতাংশ সমর্থক বেছে নিয়েছেন রন ডিস্যান্টিসকে।