দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আমদানির অনুমতি দেয়ায় বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে বলে হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে। তবে পূর্বের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে।

বর্তমানে বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু নিম্ন মানের পেঁয়াজ ২৬ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ একদিন আগেও ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারের সব দোকানেই ভারতীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে। একদিন পূর্বে খুচরাতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, সরকার নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ায় গত ৫ জুন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে তবে দিন দিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচাপণ্য গরমে অতিদ্রুত এটি পচে নষ্ট হয়ে যায় তাই কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন বন্দর থেকে পেঁয়াজগুলো খালাস করে নিতে পারেন সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে। বন্দর দিয়ে গত ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৯ কর্মদিবসে ২৬৮টি ট্রাকে ৭ হাজার ৪২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আহরণ কমে গিয়েছিল। বর্তমানে আবারো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।