কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাড়ি চাইলেন জল্লাদ শাহজাহান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রায় দীর্ঘ ৩২ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া।
রোববার (১৮ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কারাগার থেকে বেরিয়ে শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমার ঘর-বাড়ি নেই। কারাগারে এক আসামি ছিলেন, যার বাসা রাজধানীর বসুন্ধরায়। আপাতত সেখানেই থাকব।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এত বছর জেল খাটার পর আমার কিছুই নেই। আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেনো বাড়িঘর ও একটি কর্মসংস্থান করে দেন।
অবিবাহিত শাহজাহান নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ইছাখালী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। মুক্তির আগপর্যন্ত তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলায় ছয় আসামিসহ ২৬ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের পর মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। এরপর তাকে দেশের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়।
দুই মামলায় শাহজাহানের মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। এর মধ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১৮/১৯৯২, মানিকগঞ্জ ০৩(১২)৯১, ধারা- অস্ত্র আইন ১৯(এ) মামলায় তার ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়।
এ ছাড়া দায়রা ৪০/৯২, মানিকগঞ্জ ২(১২)৯১, ধারা-৩৯৬ দণ্ডবিধি মামলায় তার ৩০ বছরের সাজা হয় এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড হয়। এই দুই মামলায় তার ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন।