দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে পাড়ি জমানো হয়নি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসির। ফরাসি ক্লাব পিএসজি ছেড়ে নতুন ঠিকানা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছেন তিনি। তবে সেখানের ফুটবলে না জড়ালেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। দেশটির সঙ্গে পর্যটনদূত হিসেবে চুক্তি, তেমনটাই বলছে।

দেশটির পর্যটনদূত হিসেবে আর্জেন্টাইন মহাতারকা চুক্তিবদ্ধ, এটা অনেক পুরনো খবর। তবে এই চুক্তিটা কতদিনের, মেসিকে কী পরিমাণে অর্থ দেওয়া হচ্ছে আর চুক্তি অনুযায়ী তাকে কী কী করতে হবে, এসব বিষয় এতদিন গোপনীয়ই ছিল।

এবার এ চুক্তির একটি নথি হাতে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। সেখানে এই চুক্তির অঙ্কের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে এই চুক্তির অঙ্ক, আল হিলালের খেলার প্রস্তাবের তুলনায় অনেক কম।

চুক্তি অনুযায়ী, তিন বছরে আড়াই কোটি মার্কিন ডলারের মতো পাবেন মেসি। যদিও এই চুক্তি অনুযায়ী, খুব বেশি দায়িত্ব নেই মেসির।

গত মে মাসের শুরুর দিকে মেসির মরুর দেশটির পর্যটনদূত হওয়ার বিষয়টি শিরোনামে আসে। ওই সময়ে ফরাসি ক্লাব পিএসজির অনুমতি ছাড়াই পরিবার নিয়ে সৌদিতে বেড়াতে যান আর্জেন্টাইন এই ক্ষুদে জাদুকর। এতে রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলারের ওপর দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দেয় পিএসজি। পরে এ ঘটনায় পিএসজি, সমর্থক ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভিডিও বার্তা দেন মেসি।

মেসি-সৌদি আরব চুক্তির উল্লেখযোগ্য বিষয় :

  • প্রতি বছর কমপক্ষে পাঁচদিন পরিবারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণ করবেন তিনি। এটা না হলে দুই বছরে দুইবার তিনদিন করে সফর করতে হবে। ভ্রমণের যাবতীয় খরচ সৌদি সরকার দেবে। সব মিলিয়ে ২০ জন সঙ্গে নিতে পারবেন তিনি। এর বিনিময়ে তাকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে।
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বছরে ১০ বার দেশটির প্রচারণা করতে হবে। এটা ভ্রমণ থেকে আলাদা থাকবে। বিনিময়ে ২০ লাখ মার্কিন ডলার পাবেন তিনি।
  • বার্ষিক পর্যটন প্রচারণায় জন্যও তাকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে।
  • দাতব্য কাজ ও সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য মেসিকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে।