দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা দেশি পণ্য কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে ফল-শাকসবজি কিনতে আগ্রহী তারা। সেজন্য এসব দেশে বেশি নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে কৃষিজাত পণ্যের জন্য বহির্বিশ্বে বাজার খোঁজার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে দেশের কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে উৎসাহ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ খাতে যাতে বেশি আলোকপাত করা হয়, প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। সম্ভাব্য বাজার খুঁজতে নজর দিতে বলেছেন। যাতে এসব দেশ ভালো ক্রেতা হতে পারে।

বৈঠকে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৩-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি এ-জাতীয় প্রথম কোনো নীতিমালা। এর আওতায় কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উৎপাদনে সরকারের তরফ থেকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ খাতে যেসব প্রণোদনা ও সহযোগিতা করা হবে, তার একটি প্রস্তাবনা বা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেন সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি আরও বলেন, কৃষি ও খাদ্যপণ্যে বাংলাদেশ বিশেষ সফলতা অর্জন করেছে। এসব পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে যারা উৎপাদনকারী তাদের সুলভমূল্য দেওয়া যাবে। বাজারজাতকরণের সুবিধা ছাড়াও রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে এই নীতিমালায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে ভূমিসংক্রান্ত প্রতারণা বা জালিয়াতির অপরাধে সর্বোচ্চ সাত বছর এবং সর্বনিম্ন দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ধরনের অপরাধে কেউ সহযোগিতা করলেও একই শাস্তি হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এদিকে সীমান্তবর্তী নদী দিয়ে আসা বালুর উৎসে ব্লক নির্মাণ করা গেলে এসব বালু বেশি কাজে লাগানো যাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন- যে সীমান্তবর্তী নদী দিয়ে যে বালু আসে, সেটা মোটা বালু। সেটা আসতে আসতে চিকন হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে এসব উৎসে যদি ব্লক নির্মাণ করা যায়, তখন এ বালু বেশি কাজে লাগানো যাবে।

এটি অর্থনৈতিকভাবেই সাশ্রয়ী হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও ওই এলাকাগুলোতে এ-জাতীয় শিল্প তৈরি করতে অনুদান ও সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বালু ভালোভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে। ড্রেজিংয়ের চাপ কমে যাবে, যা লাভজনক হবে।

মন্ত্রিপরিষদের আজকের বৈঠক এ বছরের ১১তম এবং সরকারের এই মেয়াদের ১১৮তম সভা।