ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে অর্থ বিল ২০২৩ পাস হয়েছে। এতে বহুল আলোচিত আয়কর রিটার্ন দাখিলে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুধু এই করারোপের প্রস্তাব প্রত্যাহারই নয়; গত ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আরও কয়েকটি সংশোধনী এনে জাতীয় সংসদে অর্থ বিল, ২০২৩ পাস হয়েছে।
আজ সোমবার সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে।
রোববার (২৫ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
দুই হাজার টাকা করের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেছিলেন,‘এ বাজেট নিয়ে নানাবিধ আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে, যা বাজেট বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। এবারের বাজেটে মূল দর্শন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রেইন চাইল্ড সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। তাই আমরা বাজেটে প্রতিটি খাতে, প্রতিটি অংশে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনায় দেশের জনগণকে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করেছি। বিভিন্ন ভাতার হার বৃদ্ধি করেছি, আমরা দেশের সাড়ে চার কোটি মানুষকে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাঝে আনতে পেরেছি। প্রায় এক কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে আমরা খাদ্য বিতরণ করে যাচ্ছি। ’
রোববার সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাজেট নিয়ে নানাবিধ আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে, যা বাজেট বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। এবারের বাজেটে মূল দর্শন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রেইন চাইল্ড সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। তাই আমরা বাজেটে প্রতিটি খাতে, প্রতিটি অংশে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ’
গত ১ জুন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট উপস্থাপন প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয় ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয় সাড়ে ৭%।