দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের বাণিজ্য খাতে অবদান এবং বাণিজ্য সংগঠনে নেতৃত্বের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি এম এ রাজ্জাক খান রাজ।

গত রবিবার (২৫ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলেদেশের রপ্তানি এবং বাণিজ্য (ট্রেড) খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্যে এম এ রাজ্জাক খানসহ ১৪০ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (রপ্তানি)-২০২১ কার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও পদাধিকারবলে ৪০ জন ব্যবসায়ী নেতা সিআইপি (ট্রেড)-২০২১ নির্বাচিত হয়েছেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীদের হাতে কার্ড তুলে দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যে অবদানের জন্য এবার সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল।

উল্লেখ্য যে, সিআইপি কার্ডধারীরা সচিবালয়ে প্রবেশে বিশেষ পাস কার্ড পেয়ে থাকেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও নৌপথে আসনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এমনকি বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারেরও সুযোগ পাবেন। কার্ডটির মেয়াদ ১ বছর।

এ বিষয়ে এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকাররের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদবাণিজ্যে (ট্রড) আমার অবদানকে সিআইপি কার্ড প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য। এই সম্মান আমাকে বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশের বাণিজ্য ও রপ্তানি প্রসারে আরও অনুপ্রেরণা যোগাবে’।

পরিবার:জনহিতৈষী মহান এই ব্যক্তি ১লা জানুয়ারি, ১৯৭৭ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর থানার পলাশপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিকভাবে তিনি ইসলামিক অনুশাসন দ্বারা পরিচালিত। শৈশব থেকেই বাবা মায়ের বাধ্যগত সন্তান ছিলেন তিনি। পিতাঃ মরহুম আলহাজ্জ মোঃ আফজাল খান এবং মাতা মরহুমা হোসনে আরা বেগমের ৭ ছেলে এবং ৩ মেয়ের মাঝে তিনি নবম। তার স্ত্রী দিলরুবা তনু; মিনিস্টার- মাইওয়ান গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের দুইজনের ঘর আলোকিত করে এসেছে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। বাবা হিসেবে দারুণ সফল একজন মানুষ। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি পরিবারকে সময় দিতে ভুলেন না। পেশাগত ব্যস্ততা এর সাথে পারিবারিক ব্যস্ততাকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে দারুণভাবে ভারসাম্য করে চলেন তিনি। তিনি এই কারণেও আমাদের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

শিক্ষা জীবন:চুয়াডাঙ্গাতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯৯৫ সালে দেশ ত্যাগ করে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান । দেশ ত্যাগ করলেও দেশের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা সবসময় মনের মধ্যে বিচরণ করত। তাইতো মনের মধ্যে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু একটা করার প্রবল ইচ্ছা তাকে সব সময় তাড়া করে বেড়াতো। সেই লক্ষ্যেই ১৯৯৯ সালে সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল এডুকেশন থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে দেশে চলে আসেন। দেশে ফিরে সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ের উপর বিএ এবং এমএ পাশ করেন এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে ‘বিজনেস ইথিক্স ইন ইসলামিক পার্সপেক্টিভস’ বিষয়ের উপর এমফিল করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) তে ‘কন্সট্রাক্টিং এ মডেল অব দ্যা সার্ভাইভাল স্ট্র্যাটেজি অব ম্যানুফেকচারিং ফার্মস টুওয়ার্ড এ্যাচিভিং সাসটেইনেবল গোলস’ এর উপর পিএইচডি (ফেলো) করছেন।

রাজনৈতিক জীবন:পারিবারিকভাবেই তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে বড় হয়ে উঠেছেন। আর তাইতো শৈশব থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শ এর সাথে রক্তের টান অনুভব করেন। মুক্তিযুদ্ধের কয়েক বছর পর জন্ম হলেও পরিবার থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং দেশকে গড়ে তোলার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের অবদানের কথা শুনেন এবং প্রভাবিত হন। তিনি ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে খুব পছন্দ করতেন। তার বড় ভাই হাজী গোলাম মোস্তফা খান ও বড় বোনের স্বামী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার মা বাবা প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক, মানসিক নানা উপায়ে সাহায্য করেছিলেন। ১৯৯২ সালে কলেজ জীবনে তৎকালীন ছাত্রনেতা ও দর্শনা সরকারি কলেজের ভি.পি. আবু সাঈদ মাহমুদ হাসানের হাত ধরে তিনি প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে পদার্পণ করেন এবং পরবর্তীতে দর্শনা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৩ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সদস্যপদ লাভ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি সিঙ্গাপুরে অবস্থান করলেও তিনি সবসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে শুরু করে সকল জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিজের আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রাথীর পাশে থেকে জোর প্রচারণা চালান এবং দিনরাত দলের জন্য কাজ করেন। ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন যার দায়িত্ব এখন পর্যন্ত অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে পালন করে আসছেন।

কর্মজীবন:ব্যক্তি এম এ রাজ্জাক খান রাজ এর একান্ত প্রচেষ্টা, একাগ্রতা এবং ক্যারেসমেটিক নেতৃত্বের কারণে বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ‘মিনিস্টার –মাইওয়ান গ্রুপ। ২০০২ সালে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আনুমানিক ১৫শ বর্গফুটের একটি ভাড়া বাসায় মাত্র পাঁচজন কর্মী আর নিজের শ্রম মিলিয়ে যাত্রা শুরু করেন। প্রথম দিকে খুচরা যন্ত্রপাতি কিনে তা দিয়ে ১৪ ও ১৭ ইঞ্চি সাদা-কালো টেলিভিশন তৈরি করে বাজারজাত করেন। তখন মূলত অ্যাসেম্বলি (সংযোজন) করা হত। এরপর আস্তে আস্তে নিজেরাই ম্যানুফ্যাকচারিং (উৎপাদন) শুরু করেন। শুরুটা হয়েছিল স্কেডিং-এর মাধ্যমে, যা পরবর্তীতে কালার টেলিভিশন, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয় । এছাড়াও সকল ধরনের ইলেকট্রনিক্স এবং হোম এ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উ্ৎপাদনের মাধ্যমে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশের মানুষকে স্বল্প দামে পণ্য দিয়ে সেবা দিয়ে আসছে।

প্রতিষ্ঠাতা এম.এ.রাজ্জাক খান রাজের নেতৃত্বে মাইওয়ান থেকে জন্ম নিয়েছে ‘মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড’। শুরুতে ‘মাইওয়ান ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামে যাত্রা শুরু করলেও প্রথম দিক থেকেই আরও একটি নাম খুঁজছিলেন যা তাদের সাধারণ মানুষের আরও কাছে নিয়ে যাবে। তখন ‘মিনিস্টার’ নামটির কথা মাথায় আসে যার অর্থ ‘মানুষের জন্য কাজ করা’। আর এখন দেশের সকল মানুষের আস্থার এক নাম মিনিস্টার।

২০২০ সালে সারা পৃথিবী যখন এক অদ্শ্য ভাইরাস (কোভিড-১৯ ভাইরাস) দ্বারা আক্রান্ত এবং বাজারে সুরক্ষা পণ্যের তীব্র সঙ্কট তখন দেশের মানুষের কথা মাথায় রেখে এম এ রাজ্জাক খান রাজের মিনিস্টার বাজারে মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য হাইজিন পণ্য বাজারে নিয়ে আসেন । করোনাকালীন সময় তিনি বিনামূল্যে ঢাকসহ তার নিজ এলাকায় মাস্ক বিতরণ করেন। পরবর্তীতে তিনি আরো বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রোডাক্টলাইনে নিয়ে এসে নতুন একটি বিভাগ চালু করেন । আর নাম দেন মিনিস্টার হিউম্যান কেয়ার। উক্ত বিভাগের আওতায় ডিটারজেন্ট হ্যান্ড ওয়াস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, ডিশ ওয়াস, ফ্রোর ক্লিনার টয়লেট ক্লিনারসহ আরো বেশ কিছু অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য।

২০২২ সালে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ই কমার্সের দুনিয়ায় প্রবেশ করেন। এম এ রাজ্জাক খান রাজের নিজস্ব উদ্যোগে ২০২২ সালের ১লা জুন ‘ই-রাজ ডট কম’ নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম ( ই-কমার্স সাইট) উদ্বোধন করেছেন । এটি তৈরি করার মূল উদ্দেশ্যই হলো গ্রাহকরা যাতে নির্বিঘ্নে এবং আরও সহজে তাদের পণ্য কিনতে পারেন। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিশ্বব্যাপী রফতানির জন্য গ্রুপটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

‘লক্ষ্য এবার বিশ্বজয়’ এই স্লোগানকে লালন করে অচিরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারে প্রবেশের জন্য পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী নিরলস কাজ তার নেত্বত্বে চলমান। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে সরাসরি জড়িত পাঁচ হাজারের অধিক সদস্যের একটি পরিবারে পরিণত হয়েছে মিনিস্টার যা কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশা করেন তিনি। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের প্রতিটা দেশে পৌঁছে দিতে চান মেড ইন বাংলাদেশ। তিনি আশা রাখেন তখন মিনিস্টার এর পণ্যেই হবে বাংলাদেশের এ্যাম্বাসেডর।

সামাজিক জীবন:

করোনাকালীন দুর্যোগে তাঁর সবচেয়ে মহৎ কাজ ছিল মানুষের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সেজন্য তিনি শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত চুয়াডাঙ্গার পলাশপাড়ায় নিজ বাড়ি ‘খান মহল’কে ‘জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে’ রূপান্তর করেন। এছাড়াও তিনি নিজ জেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং মেডিকেল ক্যাম্পও শুরু করেছেন যা বর্তমানে তার নিজ জেলায় পরিচালিত হলেও তার স্বপ্ন এটিকে সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার।

করোনা মহামারির শুরু থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি বিনামূল্যে মিনিস্টারের উৎপাদিত মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াশের মতো অতিপ্রয়োজনীয় সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছে মিনিস্টার গ্রুপ। দেশ যখন ফেস মাস্কের ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছিল এবং নিম্নমানের মাস্কগুলো উচ্চ মূল্যে বিক্রি হওয়া শুরু হয়, তখনই তিনি এদেশের মানুষের কথা চিন্তা করে বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে ৩ স্তর বিশিষ্ট মাস্ক সরবরাহ শুরু করেন। যা এরই মাঝে ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত এবং জনগণের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ডিজইনফেক্ট বুথ স্থাপন করেছেন তিনি। এছাড়াও বিগত সময়ে দেশের যেকোন জাতীয় সঙ্কটে দেশের মানুষের জন্যে সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।

নিজ জেলার প্রতি তিনি সবসময়ই উদার এবং মানবিক। সমাজের যারা প্রতিবন্ধি রয়েছে তিনি সবসময় তাদের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করেন। চুয়াডাঙ্গার সামাজিক সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাবেশে ২০২১ সালেসহ সব সময় মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি এম এ রাজ্জাক খান রাজ পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এর আগেও তিনি বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধীদের জন্য কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় অনেক প্রতিবন্ধীদের মাঝে অর্থ সহয়তা, খাদ্য সহায়তা ও হুইলচেয়ার বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হলে তাঁর কোম্পানি সেখানেও ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকান্ড করেছে।

ব্যক্তিজীবন:

বিভিন্ন কাজের জন্য তিনি বিশ্বের বহু দেশে ভ্রমণ করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী হয়েছেন। জাতীয়ভাবে বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিকভাবে তিনি একজন সুপরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। তিনি যে শুধু একজন ব্যবসায়িক তাই নয় একজন স্পষ্টভাষী বক্তা, একজন আলোচক, একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, সাথে একজন নম্র মানুষ হওয়ার কারণে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর পিতার মতই একজন উদার মনের মানুষ। সর্বোপরি তিনি ব্যবসায়িক নেতা, তিনি একজন টেক লিডার, একজন সফল উদ্দ্যেক্তা।

তিনি মিনিস্টার –মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবসায়িক সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি এই সংগঠনের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর ডিরেক্টর, বহুবছর ধরে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ম্যানুফ্যাকচারার এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মেম্বার তিনি। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং “আমাদের চুয়াডাঙ্গা ফাউন্ডেশনের” প্রতিষ্ঠাতা।

স্বীকৃতি এবং অর্জন:বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণ থাকায় তিনি এখন সকলের পরিচিত মুখ। তিনি তাঁর সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে দৃষ্টান্তও স্থাপন করে যাচ্ছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে। সেই ধারাবাহিকতায় করোনাকালীন সঙ্কটময় মূহুর্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক যুবাদের অনন্য মানবিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ "ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০" এ আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড শো তে "শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০" পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। সম্প্রতি ২০১৯-২০২০ সালে বাণিজ্যে অবদানের জন্য তিনি সিআইপি (ট্রেড)-২০২১ কার্ড পেয়েছেন। আবার, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৮,২০১৯, ,২০২২ ও ২০২৩ ৪ বার সেরা প্যাভিলিয়ন হিসেবে পুরস্কার অর্জন করে তার মিনিস্টার। ২০১৮ ও ২০২০ ২০২৩ সালে বাণিজ্য মেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বশরীরে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লি. এর প্যাভিলিয়ন প্রদর্শন করেন। এছাড়াও ২০১৮ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ার 'বেস্ট ব্র্যান্ড এন্ড লিডার' পুরস্কার অর্জন করেন তিনি এবং ২০২১ সালে ব্র্যান্ড রেফ্রিজারেটর ক্যাটাগরিতে 'বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড' (৩য়) স্থান অর্জন করে তার কোম্পানি।