ঈদযাত্রায় ভোগান্তির কারণ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ। রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করেছে। বেড়েছে সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাত্রীদের চাপ। তবে আনন্দের এই ঈদযাত্রায় ভোগান্তির কারণে হয়ে দাঁড়িয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) ভোর থেকে নগরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন যারা জিনিসপত্র নিয়ে ঢাকা ছাড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এদিকে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে থেকে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে পুলিশের সব ইউনিট ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনাল ও পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদে ঘরমুখো সাধারণ মানুষের যাত্রাপথে ও পশুর হাটে ছিনতাই, মলম ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম করতে না পারে সেজন্যও পুলিশ কাজ করছে। এ ধরনের নাশকতামূলক কাজ করলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
নগরবাসীর উদ্দেশে পুলিশ প্রধান বলেন, ঈদের ছুটিতে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় মূল্যবান মালামাল নিরাপদ হেফাজতে রেখে যাবেন। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে ভ্রমণ করবেন না। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করবেন না।
ঈদযাত্রায় যানজটকালীন ভুক্তভোগীর অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে মোটরসাইকেলবাহী পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া উপকূলীয় এলাকা ও চার সমুদ্রবন্দরে ঝড়ের আশঙ্কা থাকায় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়া যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।