১০৩ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) দিবস আজ (১ জুলাই)। পূর্ব বাংলার পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯২১ সালের এই দিনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছিল। দিবসটি উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানান কর্মসূচি। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়'।
১৯২১ সালের ১ জুলাই ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার দুয়ার। তৎকালীন ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশ সরকারের পরিত্যক্ত ভবন ও ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনগুলোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৬০ জন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৬০টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ছাত্রছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল ও ১৩৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার ১৫০ জন। পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৮ শিক্ষক।
এদিকে ১০৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি।
এদিন সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে শুরু হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে (টিএসসি) শেষ হবে। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে জাতীয় পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন, কেক কাটা এবং পায়রা ও বেলুন উড্ডয়ন করা হবে।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মূল বক্তা হিসেবে প্রতিপাদ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে তোরণ নির্মাণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে।