জুনে পাঁচ মাসের দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হাসপাতালে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শিশু হাসপাতালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে যে পরিমাণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে, শুধু জুন মাসেই প্রায় তার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালটিতে। শনিবার (১ জুলাই) হাসপাতালটির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আটজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে মোট ১৯ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন। চলতি বছরে শিশু হাসপাতালে মোট ৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ঢাকা শিশু হাসপাতাল মোট ৩৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছিলেন এবং জুন মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৫৯ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ মাসের প্রায় দ্বিগুণ ডেঙ্গুরোগী জুন মাসেই ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দেখা যায়, শিশু হাসপাতালের ১ নম্বর জেনারেল ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কেউ জ্বর, খিঁচুনি, কেউবা পেটব্যথা, বমি অথবা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, পরে তাদের ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
এক শিশুর অভিভাবক জানায়, তাদের বাসা হাজারীবাগের ট্যানারি মোড় এলাকায়। খিঁচুনি হওয়ায় গত মাসের ২৪ তারিখ আরশীকে শিশু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২৭ তারিখে তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
শিশু হাসপাতালের ১ নম্বর জেনারেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন তিন বছরের জুনায়েদ নামের আরেক শিশু। জুনায়েদের অভিভাবক সিরাজ জানায়, তাদের বাসা মিরপুর ১ নম্বরের পিয়াঙ্কা হাউজিংয়ে। জ্বর এবং ডায়রিয়াজনিত সমস্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, পরবর্তীতে তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট আট হাজার ২৪৮ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ছয় হাজার ২৫৭ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে এক হাজার ৯৯১ জন হয়েছেন। একই সময়ে সারাদেশে মোট ৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত বছরের থেকে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং মৃত্যুর প্রকোপ কয়েকগুণ বেশি। ডেঙ্গুর কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ডেঙ্গু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নিতে হবে।