দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন বাতিলের আবেদনে আদালতের সাড়া মেলেনি। অপরদিকে আসামিপক্ষের করা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা আগামী ১৩ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।


এদিন ড. ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। আবেদনে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে অবস্থান করছেন ড. ইউনূস। তার জামিন বাতিল করা প্রয়োজন।

অপরদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন পেছানোর আবেদন করা হয়।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

বিচার শুরু হওয়া অন্য তিনজন হলেন- এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরপর গত ৬ জুন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।