পাঁচ খুনের ৯ ঘণ্টা পর আরেক রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা
দ্য রিপোর্ট প্রতিনিধি, কক্সবাজার: দুই পক্ষের গোলাগুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার ৯ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১১) ছুরিকাঘাত করে ছানা উল্লাহ (৪৩) নামের আরেক রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আশ্রয়শিবিরের বি ব্লকের একটি রোহিঙ্গা বসতির পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে নিহত ছানা উল্লাহ বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১১) বি ব্লকের বাসিন্দা মো. আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আশ্রয়শিবিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, বেলা সোয়া তিনটার দিকে কয়েকজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মো. আলীর ঘরে ঢুকে ছানা উল্লাহকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাঁকে একটি ঘরের পাশে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই ছানা উল্লাহর মৃত্যু হয়।
রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, পূর্বশত্রুতা বা আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় উখিয়ার বালুখালী (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আরসা সদস্য নিহত হয়েছেন। এর প্রতিশোধ নিতে ছানা উল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ছানা উল্লাহ আরএসওর সমর্থক। তবে তিনি আরএসওর সমর্থক কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১১) সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ছানা উল্লাহ নামের আরেকজন রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর গলায় ছুরির দাগ রয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সকালে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোলাগুলি ও সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১৬ জন আরসা সদস্য, ১ জন আরএসও সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।
দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/৭ জুলাই,২০২৩