দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এবার নতুন সূর্য্য উঠবেই উঠবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীতে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ জেলাসহ কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগরের নেতাকর্মীরা এ পদযাত্রা অংশ নেন। দেশ বাঁচাতে মেহনতি মানুষের পদযাত্রা এ স্লোগান নিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিএনপির চার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতি দল ও মৎসজীবী দল।

পদযাত্রা আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার কি ভোটের সরকার? নেতাকর্মীরা উত্তরে বলেন, না। ভোট দিতে পেয়েছিলেন, তখনও বলেন না। এ সময় তিনি স্লোগান ধরেন একদফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

বর্তমান সরকারের অত্যাচারের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, কথা বললেও মামলা, না বললেও মামলা। সব নেতাকর্মীদের নামেই মামলা দিয়েছে এই সরকার। মারামারি করে তারা, আর মামলা দেয় আমাদের নামে।

এ সময় তিনি কুমিল্লার লাকসামে বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা তুলে বলেন, এটা শুধু কুমিল্লা নয় , সারাদেশে এই আওয়ামী লীগের একই চরিত্র।

আওয়ামী লীগের একদফা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন- ওবায়দুল কাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, কি আবদার! এরা আমাদের ভোটাদের ভোট কেন্দ্রে যাইতে দেয় না। ভোট দিতে গেলে বলে ভোট হয়ে গেছে। এখন তারাই বলে, এবার নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন করবে।

আমাদের দরকার নেই বিদেশিদের মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সাথে দেশের জনগণ আছে। শেয়ালের কাছে বরাবার কুমিরের বাচ্চা রাখা যাবে না। এবার এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। কোনভাবেই আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

ঐক্যবদ্ধ হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আর কোন সময় নাই। সরকারের আর কোন সময় নেই। পরিষ্কারভাবে বলছি, সুবোধ বালকের মতো ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পদত্যাগ করেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।

পদযাত্রার পূর্ব সমাবেশে নোয়াখালীর গুম হওয়া বিএনপি নেতা নিজামউদ্দিন মুন্নার মা এবং ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে ভোট দেয়ায় যে নারীকে গভীর রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সেই নারী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমি বেঁচে আছি এই সরকারের পতনের দেখার জন্য, আমি আমার ভোট দিয়ে মরতে চাই। এই সরকারের পদত্যাগ চাই।

পদযাত্রায় পূর্ব সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, ডা এজেডএম জাহিদ হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদারসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ জেলা ও কুমিল্লা উত্তর এবং দক্ষিণ মহানগরের নেতৃবৃন্দ।