দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খারাপ সময়টা পিছু লেগেই আছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে শোচনীয় পরাজয়। মাঝের ওয়ানডে সিরিজের জয়টাই তাদের একমাত্র সান্ত্বনার জায়গা। হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে হারকে সঙ্গী করেই সিরিজ শেষ করতে হয়েছে আফগানদের।

তবে দেশ ছাড়ার আগে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারা নিয়ে গেছে আইসিসির শাস্তি। কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙায় শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট ও দলটির অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে।

বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির একপর্যায়ে মাঠ পরিদর্শনে নেমেছিলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ও তানভীর আহমেদ। পরিদর্শন শেষে খেলা বিলম্বে শুরু করার সিদ্ধান্ত দেন এই দুই আম্পায়ার।

আর তাতেই চটে যান আফগান কোচ। তর্কে জড়িয়ে পড়েন দুই ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে। এই তর্কের খেসারতটা খুব বাজেভাবেই দিতে হয়েছে ট্রটকে।

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করায় ট্রটের বিরুদ্ধে কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ এর ২.৮ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন দুই ফিল্ড আম্পায়ার, থার্ড আম্প্যার মাসুদুর রহমান ও চতুর্থ অফিসিয়াল গাজী সোহেল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ম্যাচ ট্রটের ফি থেকে ১৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়

জরিমানার মুখে পড়েছেন দলটির অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। তবে তার বিরুদ্ধে ভিন্ন অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ ইনিংসের ১৫তম ওভারে তাওহীদ হৃদয়কে আউট করার পর বেশ আগ্রাসী ভঙ্গীতে তার দিকে ছুটে যান ওমরজাই। একদম কাছ থেকে ‘অস্বাভাবিক ও দৃষ্টিকটু’ ভঙ্গীতে হৃদয়কে বিদায় জানান আফগান পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি ফিল্ড আম্পায়াররা। যে কারণে আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ এর ২.৫ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। শাস্তিস্বরূপ তাকেও ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।

আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ এর কোনো ধারা ভঙ্গ করতে অভিযুক্তের ম্যাচ ফির সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয় এক অথবা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট।

সেই মোতাবেক গত ২৪ মাসের ভেতর এই প্রথম এ ধরনের অপরাধ করায় ট্রট ও ওমরজাই দুজনের নামের পাশেই ১টি করে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে