দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকায় ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ লম্বা সময় ধরেই। শুধুমাত্র বৈশ্বিক ইভেন্টেই দেখা হয় এই দুই দলের। আইসিসি ও এসিসির ইভেন্টগুলো ছাড়া এই দুই দলের খেলা হয় না বলে এসব ইভেন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বৈরথ মাঠে বসে উপভোগ করতে দর্শকরা থাকেন মুখিয়ে। স্বভাবতই চাহিদা তুঙ্গে থাকায় এই দুই দলের ম্যাচের টিকেট থেকে শুরু করে ভেন্যুর আশপাশের থাকার হোটেল, খাবার হোটেল, যাতায়াত ভাড়া সবকিছুর দামই বেড়ে যায় খেলার আগে দিয়ে।

আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের নিশ্চিতভাবে দুইবার দেখা যাবে ২২ গজে এই দুই দলের দ্বৈরথ। এশিয়া কাপের ম্যাচটি হবে শ্রীলঙ্কায় আর বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের ভেন্যু আহমেদাবাদ।

ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি দেখতে মুখিয়ে থাকবেন ভারতের দর্শকেরা এটা নিশ্চিত। দর্শকদের প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে কিছুদিন আগেই দশগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল আহমেদাবাদের হোটেলগুলোর ভাড়া। সেই সঙ্গে ভারতের বড় শহরগুলো থেকে আহমেদবাদে যাওয়ার সড়ক ও রেলপথের ভাড়া গড়ে বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ।

এবারে দাম বাড়ার তালিকায় যোগ হলো বিমানের টিকিট। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের দিন ও তার আগের দিনের বিমানের টিকিট ইতোমধ্যেই চারগুণ বেড়ে গেছে

১৫ অক্টোবর মাঠে গড়াবে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি। সে কারণে ১৪, ১৫ অক্টোবর মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ যাওয়ার ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৯৬০ রুপি। আগে এই রুটের বিমান ভাড়া ছিল ৫ হাজার রুপি।

দিল্লি থেকে ভাড়া ছিল ৭ হাজার রুপি। ম্যাচের কারণে ১৪, ১৫ অক্টোবরের জন্য ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ২৭৬ রুপি।

সাধারণ সময়ে ভাড়া ১১শ’ রুপি গুণতে হয় একজন যাত্রীকে কলকাতা থেকে আহমেদাবাদে যাওয়ার জন্য। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সময় মূল্য বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ৪২ হাজার ৪৩৯ রুপি।

তবে ব্যাঙ্গালুরু থেকে ভাড়াটা একটু কম বেড়েছে। ১০ হাজারের ভাড়া রাখা হচ্ছে ১৮ হাজার ৬৬৫ রুপি। হায়দরাবাদ থেকে ১০ হাজারের জায়গায় রাখা হচ্ছে ৩৬ হাজার রুপি এবং চেন্নাই থেকে ১০ হাজারের টিকিট ক্রিকেটভক্তদের কিনতে হচ্ছে ৪৫ হাজার ৪২৫ রুপি দিয়ে।

ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান বিরেন্দ্র শাহ বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের উদ্বোধনী এবং ফাইনাাল ম্যাচ নিয়েও এতোটা আকর্ষণ নেই, যতটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেজন্য আহমেদবাদের অভ্যন্তরীণ বিমান ভাড়া আকাশচুম্বী। এমনকি হোটেল বুকিংয়েও ক্ষেত্রেও একই বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’