ইন্দোনেশিয়ায় অগ্নুৎপাত : ৫ হাজার মানুষকে স্থানান্তর
দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ৫ হাজারের বেশি মানুষকে অগ্নুৎপাতের কারণে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই অঞ্চলে কয়েক দফা অগ্নুৎপাতের কারণে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। খবর এনডিটিভির।
এ মাসের শুরু থেকে মাউন্ট সিনাবাঙ্গে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। সুমাত্রা দ্বীপের উত্তরে এই আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে লাভা প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
অগ্নুৎপাত শুরু হওয়ার পরপরই কারো জেলার নিকটবর্তী গ্রামবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে ২০১০ সালে অগ্নুৎপাতের পর গত সেপ্টেম্বর থেকে আবারও লাভা নির্গমন করতে থাকে আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সিনাবাঙ্গ। স্থানীয় সরকারের মুখপাত্র রবার্ট পেরানগিয়ানগিন বলেছেন, সাতটি গ্রাম থেকে এখন পর্যন্ত ৫,২৬৫ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে অগ্নুৎপাত বন্ধ হচ্ছিল না দেখে স্থানীয়রা ভয় পায়। তিনি বলেন, তারা নিরাপদ বোধ করছেন না এবং খুব ভয় পেয়েছে। ফলে মসজিদ এবং চার্চের মত স্থানে আশ্রয় নেওয়াটাকেই তারা এখন নিরাপদ মনে করছে। তবে আরও লোক বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার সরকার আগ্নেয়গিরির তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যের সবাইকে অন্যত্র সরে যেতে আহবান জানিয়েছে। তারপরও বিপদসীমার বাইরে বসবাসকারীরাও তাদের বাড়ি-ঘর থেকে সরে গেছে। জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরও নুগরোহো জানিয়েছেন, মঙ্গলবার আবারও আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। তবে মঙ্গলবারের অগ্নুৎপাতের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে কম ছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় বেশ কয়েকটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এ ছাড়া দেশটি ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মাঝামাঝি অবস্থিত বলে এখানে ভূমিকম্পের প্রবণতাও বেশি। ফলে এই অঞ্চলটি ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত।
গত আগস্টে পূর্ব নুসা তেংগারা প্রদেশের একটি দ্বীপে অগ্নুৎপাতের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয় এবং শতশত লোককে বাড়ি-ঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে ২০১০ সালে মধ্য জাভায় অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মেরাপিতে কয়েক দফার অগ্নুৎপাতের ঘটনায় ৩৫০ জনের বেশি নিহত হয়।
(দিরিপোর্ট২৪/আদসি/এইচএসএম/নভেম্বর ১২, ২০১৩)