দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সম্প্রতি মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্য মানবতার ফেরিওয়ালা জনাব এম এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি ক্যান্সারে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর পাশে দাঁড়ালেন । আর এমন মুমূর্ষু রোগীর পাশে দাঁড়িয়ে স্থাপন করলেন মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি নিজে রোগীর বাড়িতে যান এবং অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এসময় পরিবারে পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন।

দীর্ঘ ৪ বছর ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত বড় গাংনী ইউনিয়নের মুশাইনগর পুরাতন জামে মসজিদ পাড়ার আব্দুল মজিদের মেয়ে মোছাঃ মিতা খাতুন। চিকিৎসা করাতে করাতে বর্তমানে তার পরিবার প্রায় নিঃস্ব। ক্যান্সার চিকিৎসার মত এমন ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ তাদের পক্ষে চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনাবস্থায় এগিয়ে আসেন চুয়াডাঙ্গার গণমানুষের নেতা, চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান জনাব এম রাজ্জাক খান রাজ। সংবাদটি শুনার পর এক মুহূর্ত দেরি না করে তিনি ছুটে যান আসমান খালি মুসাই নগর গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত অসুস্থ মেয়েটিকে দেখতে। ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়েটির চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন তিনি। মেয়েটি ও তার পরিবারের করুণ অবস্থার কথা শুনে তার কোমল হৃদয় ব্যথিত হয়। মেয়েটির চিকিৎসায় যেন কোনরকম ব্যঘাত না ঘটে সেজন্য তিনি পরিবারটিকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
এসময় তিনি বলেন, "আমি চুয়াডাঙ্গাবাসীর শতভাগ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। আমার জেলার একটি মানুষও যেন চিকিৎসাবিহীন মৃত্যুবরণ না করে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিরলস কাজ করছি। চুয়াডাঙ্গাবাসীর যে কোন প্রয়োজনে আমার দরজা সবসময় খোলা"।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর সময় তিনি তার নিজ বাড়ি পলাশ পাড়ায় অবস্থিত ‘খান মহলকে’ চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য ‘জরুরি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে’ রূপান্তরিত করেন যা এখনো চলমান। সেখানে ফ্রিতে ডাক্তার দেখানো, ওষুধ বিতরণ ও অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। চুয়াডাঙ্গার প্রান্তিক জণগণের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের জন্য তিনি ‘ইউনিয়নভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা’ কার্যক্রমও চালু করেছেন।