দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে মুখ না খোলায় পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করলে স্পিকার ওম বিরলা তা গ্রহণ করেন।

বিরলা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর কয়েক দিনের মধ্যেই ভোটের তারিখ ঘোষণা করবেন তিনি। খবর বিবিসির।

বুধবার কংগ্রেসের এক আইনপ্রণেতা এই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব আনেন। মূলত সরকারের পতন ঘটাতে এ ধরনের ভোট হয়ে থাকে, কয়েক দিন আগে যেমনটা হয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষেত্রে। তবে ইমরানের মতো মোদির প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর কোনো শঙ্কা নেই। এ ছাড়া বড় কোনো সমস্যায়ও পড়বেন না তিনি। কারণ ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। সঙ্গে রয়েছে এনডিএ জোটভুক্ত অন্যরাও। ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মোদি এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনাস্থা ভোটের মুখে পড়লেন। ২০১৮ সালে তার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি হলেও সেটি বাতিল হয়ে যায়। ভারতের আইন অনুযায়ী লোকসভায় যদি কোনো দল অনাস্থা ভোট আনতে চায়, তা হলে কমপক্ষে ৫০ জন আইনপ্রণেতাকে এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাতে হবে। যা কংগ্রেস খুব সহজেই পেয়ে গেছে।

বিরোধী দল কংগ্রেস অবশ্য জানিয়েছে, মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এ অনাস্থা ভোট প্রস্তাব করেনি তারা। মূলত মণিপুর ইস্যু নিয়ে যেন মোদি বিস্তারিত আলোচনা করেন; সে জন্য অনাস্থা প্রস্তাবকে ব্যবহার করতে চাইছেন তারা। অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ায় এখন মোদিকে নিজের সরকার নিয়ে আলোচনা করতেই হবে। নিজের এবং সরকারের পক্ষে সাফাইও গাইতে হবে তাকে।

জুনের প্রথম সপ্তাহে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু এ সহিংসতা নিয়ে মুখ খোলেননি মোদি। যদিও গত সপ্তাহে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনা ভাইরাল হলে এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য হাজির করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। মনোজ কে ঝা নামের এক বিরোধীদলীয় নেতা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি সংখ্যায় আমরা এগিয়ে নেই। কিন্তু বিষয়টি সংখ্যা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে অনাস্থা ভোট নিয়ে কথা বলতে হবে এটিই আসল।’