দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব দিক থেকে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে গেছে তখন সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে বারবার নির্বাচন করা হলে বিশ্বের কাছে মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না। আমি দেশে শান্তি চাই। জনগণ যদি আমাকে ভোট দেয় তাহলে থাকব, না দিলে চলে যাব। বিএনপি আবার ভোটের অধিকার হরণ করতে চায়, লুটপাট করতে চায়, দেশের মানুষকে অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়েকালে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এমন একাধিক নেতা এমন তথ্য জানিয়েছেন। রাত ৯টা থেকে প্রায় রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত গণভবনে ছিলেন সংগঠনের নেতারা।

সূত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময় এই অনুষ্ঠানে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে ভারমুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, 'দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকুক এটাই আমি চাই। বিরোধী দল (বিএনপি) দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। '

সংবিধানের মধ্যে থেকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার নিরাপত্তায় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে যুগের পর যুগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো ব্যবস্থা দিয়ে নির্বাচন করা। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন এই ব্যবস্থা থাকলে তো আর নিজেদের পরিচয় দেওয়ার জায়গা থাকবে না।

আমরা তো সবদিক থেকে এগোতে পারব না। প্রতিবার যদি এভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশে এটা হতে পারে না। '

নির্বাচনের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এখন থেকে সবাইকে নির্বাচনে প্রস্তুতি নিতে হবে। সাড়ে ১৪ বছরে সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো গ্রামেগঞ্জে গিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে বিএনপি-জামায়াতের আমলে তারা কেমন ছিল এখন তারা কেমন আছে। '

২০০৮ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'সে নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিল আওয়ামী লীগ। সেই নির্বাচনে কিন্তু বিএনপি মাত্র ২৯টা আসন পেয়েছিল। সেটা কিন্তু মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের অত্যাচার নির্যাতন দুর্নীতি হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে পয়সা খাওয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু বারবার তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণের মধ্যে দিয়ে যাদের জন্ম তারা আবার ভোটের অধিকার হরণ করতে চায়, লুটপাট করতে চায়, দেশের মানুষকে অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। '