চট্টগ্রামে অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দুইদিন ধরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি।
এছাড়াও দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা।
রোববার (৬ আগস্ট) এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ বেলা ১১টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৪৬ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১২৮ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১৩৪ মিলিমিটার, রাঙ্গামাটিতে ১৪৬ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ১১২ মিলিমিটার ও বান্দরবানে ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার, টেকনাফসহ অন্যান্য স্থানেও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাউজানের অন্তত ১১টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ৮ আগস্ট সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবার উপকূলে ঝড়ের আশঙ্কা থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতেও তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে পারে।
দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার। আগামী তিনদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।