দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হবে, সেখানে মানহানির মামলায় কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। 

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ আইনের বহু ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করা হবে। কিছু ধারায় বড় সংশোধনী আনা হবে। যখন নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন হবে, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকবে না।

আজ সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মন্ত্রিসভার একটি দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।

আইনমন্ত্রী বলেন, জামিন অযোগ্য ধারা পরিবর্তন করে নতুন আইনে জামিন যোগ্য করা হচ্ছে। আগে শাস্তি ছিল কারাদণ্ড, এখন তা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে সেই ক্ষেত্রে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করে কিছু বলা হলে আগে ১০ বছর শাস্তির বিধান ছিল। এখন তা কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেকগুলো ধারায় পরিবর্তন করা হবে।

যেসব ধারায় পরিবর্তন হচ্ছে :

২৮ ধারা : সাজা কমানো হয়েছে। জামিন যোগ্য করা হয়েছে।
২৯ ধারা : কারাদণ্ড বিলুপ্ত করে শুধু জরিমানা করা হয়েছে। অর্থ দণ্ড ২৫ লাখ অনাদায়ে কারাদণ্ড সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৬ মাস (মানহানি কর তথ্য প্রচার করলে)।
৩০ ধারা : বহাল থাকছে।
৩১ ধারা : ৭ বছর কারাদণ্ড থেকে ৫ বছর কারাদণ্ড।
৩২ ধারা : সাজা পরিবর্তন

অজামিন যোগ্য ধারা গুলো জামিন যোগ্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় বার অপরাধ করলেও আগের সাজাই থাকবে। সাজা বৃদ্ধি করা হবে না।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নীতিগত অনুমোদন হয়। আইনটির বদলে সরকার নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ করবে।

সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এই আইন উত্থান করা হবে৷

নাম পরিবর্তন এর কারণ হিসেবে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আগের নাম থাকলে মানুষিক চাপ তৈরী হবে তাই নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। জনগণ-আইনবীদ সবার জন্য আইনটি সন্দেহ বা শঙ্কা মুক্ত হবে। খন নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন হবে, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকবে না।