চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে মিনিস্টার চেয়ারম্যান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে আট জন বীর শহীদের স্মৃতিসৌধ চত্ত্বরে, শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও জাতীয় পতাকার উত্তোলনের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। পরে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।
গত শনিবার (৫ই আগস্ট) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবসায়িক শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ টেলিভিশন ম্যানুফ্যাকচারার এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্য এম এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি। চুয়াডাঙ্গার সকল উন্নয়নমূলক কাজের প্রাণপুরুষ এম এ রাজ্জাক খান রাজ। এছাড়া সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে রয়েছে সর্বদাই তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ। চুয়াডাঙ্গা জেলাকে একটি আদর্শ জেলায় রুপান্তর করতে বদ্ধপরিকর এই সমাজসেবক। আয়োজিত অনুষ্ঠানে জনাব এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার সূর্য সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎবরণকারী শহীদের সম্মানার্থে মহতী এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে গর্ববোধ করছি। আমরা তোমাদের ভুলবো না’। এছাড়া, দেশের স্বাধীনতায় প্রাণ হারানো সকল সকল শহীদের ত্যাগের কথা স্বরণ করেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ।
চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে গত রবিবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুরে পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন। পতাকা উত্তোলন শেষে তারা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ।
আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব জাকিয়া সুলতানা, দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব আলমগীর কবীর, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ৫ই আগস্ট স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার আট জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হোন। তাঁরা হলেন, হাসান জামান, সাইফুদ্দিন তারেক, রওশন আলম, আলাওল ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল ইসলাম, কিয়ামউদ্দিন ও আহফাজ উদ্দিন।