দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: 

চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা ও ভূমিধস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান।

তিনি জানান, দেশের দুই জেলা চট্টগ্রাম এবং বান্দরবানে বন্যা ও ভূমিধস পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করবে সেনাবাহিনী। এর আগে টানা কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নগরের বিভিন্ন নিচু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে এবং বহু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া একাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে সোমবার (৭ আগস্ট) বান্দরবান সদরে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধসে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। প্লাবিত হয়েছে হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। বান্দরবান-থানচি সড়কের ১২ মাইল এলাকায় পাহাড়ধসে সড়কে গাছ পড়ে বান্দরবান থেকে রুমা-থানচি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে। বৃষ্টিপাত এখনো অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্ন উপজেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম চান্দনাইশ এলাকার সড়কে পানিতে টইটুম্বুর দেখা গেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের ওপর দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি বয়ে যাচ্ছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। তাই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। শনিবার রাত থেকে শুরু হয় অতি ভারি বর্ষণ। আবহাওয়া অফিস অতি ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির অবনতি ও পাহাড়ধসের সতর্কতা জারি করে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২১৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এ সময় আমবাগান আবহাওয়া অফিস ২০৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।