শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাব: রিজভী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাব। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক রায়ের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সঞ্চালনা করেন মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান। রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে না পারলে চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের জনগণ তার কাছে বন্দি হয়ে যাবে। আমরা আপনাদের সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে চাই। তা না হলে, এই দেশে আর কেউ কথা বলতে পারবে না। এই অবস্থা থেকে সবাইকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক ঘটনা জানি। কখন কি ষড়যন্ত্র করা হয়, কাকে কোথা থেকে তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য ডেকে আনা হয়, এর সবই আমরা জানি। আমাদের নেতাদেরকে ধরে উধাও করা হয়। উধাওয়ের চার-পাঁচ দিন পর বলা হয় উনি গোয়েন্দা হেফাজতে আছেন। তার কয়েক দিন পর থানায় দেওয়া হয়। এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করার কোনো অধিকার নেই। সরকার আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, যখনই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা কোনো দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়। তখনই সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য খুঁজে সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মাজিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, কাজের বুয়া মর্জিনা। উনি যখন বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে দিল্লিতে গেলেন তখন বলা হয়েছিল, ড্যান মাজিনা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। আজকে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, তখন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যে—তারা নাকি আমাদের সেন্টমার্টিন নিতে চায়। অথচ তারা স্পষ্ট করে বলছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই।