দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হতাশার আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত এই সপ্তাহে দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর। ফলে বিদায়ী সপ্তাহে কমেছে লেনদেন ও সূচক। আর তাতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

 

ডিএসইর তথ্য মতে, গত ৬ আগস্ট সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭০ কোটি ৫৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৯ কোটি ৪৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি কমেছে ৫ হাজার ৮৭১ কোটি ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৬ টাকা। যা শতাংশের হিসেবে কমেছে দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর আগের মূলধন বেড়েছিল ১৭ হাজার ৪৭১ কোটি ৭০ লাখ ৯১ হাজার ১৮৮ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহের তিনদিন পতন আর দুদদিন সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুই কর্মদিবস রবি ও সোমবার দরপতন হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার সূচকের উত্থান হয়েছে। কিন্তু তার পরদিন বুধবার আবারও দরপতন হয়। তবে বৃহস্পতিবার সূচক সামান্য বেড়েছে। আরও দরপতন হতে পারে এই ভয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করছেন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এর মধ্যে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, তার বিপরীতে কমেছে ১৪৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৬টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৭৬টির, কমেছিল ৯৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৬৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৮৯২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে যা ৩০ দশমিক ১১ শতাংশ।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৯০ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ১৭৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬১ কোটি ৭২ লাখ ৩ হাজার ৭৭ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮টির, কমেছে ১২২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।