দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

সামনের দিনে অনেকগুলো বৃহৎ প্রকল্পের উদ্বোধন হবে জানিয়ে দলের নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই অক্টোবরের মধ্যে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করতে হবে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন উপলক্ষে ওইদিন বড় ধরনের জনসভা হবে।

অক্টোবরে সিলেটের জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরুর কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। একই সময়ে খুলনা ও বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ করার কথাও জানান তিনি।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই বৈঠকে টানা তিন মেয়াদে তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।

প্রথম ধাপে কাওলা থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৭.৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫.৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকিটা।