দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যখন আন্দোলন উঠতে থাকে তখনই জঙ্গি নাটক করতে থাকে এই আওয়ামী লীগ। এখন জনগণের চোখকে অন্যদিকে প্রবাহিত করতে থাকবে। পশ্চিমা দেশগুলোকে বুঝাবে আমরা না থাকলে জঙ্গির উত্থান ঘটবে। কী নাটক। এই নাটক করে এরা দেশটাকে গিলে ফেলেছে।

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, পরিবর্তন আসছে। এবার জনগণের জয় হবে ইনশাআল্লাহ।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। এ আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, আরাফার রহমান কোকো একজন দুর্ভাগ্যবান মানুষ। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকারী বেগম খালেদা জিয়া কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি রাজনৈতিক কারণেই বেশি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। যদি এনাদের সন্তান না হতেন তবে তিনি হয়তো এমন নির্যাতনের শিকার হতেন না। তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের যে একটা আত্মা থাকে, আওয়ামী লীগ সেটাও নষ্ট করেছে। আমি মনে করি দেশের যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি আছেন কারও কোনো যোগ্যতা নেই। শুধু ক্রীড়া অঙ্গন নয়, দেশের সব নষ্ট করে ফেলেছে এরা। আজ এই রাষ্ট্র দখল হয়ে গেছে। কেউ নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে ধরে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ জেগে উঠেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের জন্য। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ফিরে আসে তবে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এটা আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডাম খালেদার জিয়ার চিকিৎসা এ দেশে আর সম্ভব নয়। ডাক্তারা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, উনাকে দেশের বাহিরে নেওয়া দরকার তাড়াতাড়ি।