চুয়াডাঙ্গা মসজিদে এসি দিলেন মিনিস্টার গ্রুপ চেয়ারম্যান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বগাদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জন্য একটি ২ টনের এয়ার কন্ডিশনার মসজিদ কমিটির হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবসায়িক শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ টেলিভিশন ম্যানুফ্যাকচারার এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্য এম এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি। পারিবারিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসনে বড় হয়েছেন তিনি, অতীতেও এলাকার ধর্মীয় উপসানলয়ের কল্যাণে সবসময় কাজ করেছেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় এসি প্রদানের মাধ্যমে নিজেকে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত রেখেছেন এই শিল্পপতি।
শনিবার সকালে রাজ্জাক খান রাজের নিজ বাসা চুয়াডাঙ্গার পলাশ পাড়া গ্রামের খান মহল থেকে মসজিদ কমিটির হাতে একটি দুই টনের এয়ার কন্ডিশন তুলে দেন। একই সময় তিনি চিৎলা ইউনিয়নের ‘গোকল খালি আশরাফুল উলুম কওমি’ মাদ্রাসার কমিটির হাতে মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য নগদ অর্থ তুলে দেন মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নের জন্য। এর পূর্বেও তিনি এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসায় অর্থ সহায়তা করেছেন।
এ বিষয়ে এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন- "আমি একজন মুসলিম, আমি মনে করি সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি দীর্ঘদিন যাবত চুয়াডাঙ্গাবাসীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছি। যখনই কোন মানুষ কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য দাবি নিয়ে আমার কাছে আসে তখনই আমি চেষ্টা করি তাদের পাশে থাকার জন্য"। এসময় তিনি স্থানীয়দের কাছে দোয়া চান যেনো সবসময় চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর পাশে থাকতে পারেন।
এছাড়াও আসন্ন শোক দিবসকে স্মরণ করে তিনি মসজিদ ও মাদ্রাসার কমিটির কাছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ই আগস্টে নিহত সকল শহীদদের জন্য দোয়া চান।
উল্লেখ্য যে, কয়েক দিন পূর্বেও দীর্ঘ ৪ বছর ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত বড় গাংনী ইউনিয়নের মুশাইনগর পুরাতন জামে মসজিদ পাড়ার আব্দুল মজিদের মেয়ে মোছাঃ মিতা খাতুনের চিকিৎসার জন্য মেয়েটির পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। সেই সাথে সবসময় পরিবারটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার ভোগাইল বগাদী ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ মরণব্যাধী ক্যান্সার রোগে ভোগা মোঃ নাহিদ হোসেন এবং একই গ্রামের জালালের স্ত্রীকেও অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ। আবার, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় শান্তি পাড়ার মোঃ নজরুল ইসলাম (৫০) নামের একজন দুঃস্থ রোগী যিনি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে রোড এক্সিডেন্ট করে শয্যাশায়ী। দারিদ্রতার কারণে ঠিক মতো চিকিৎসাও করাতে পারেনি তার পরিবার। তাকেও এম এ রাজ্জাক খান রাজ মানসিক শক্তি এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ান। অচল পরিবারটির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।