পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে স্টেকহোল্ডারদের সম্মতি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসিতে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় এ মতামত জানায় পুঁজিবাজারের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক, ব্রোকারহাউজ ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান, ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহিত রহমান, সিটি ব্যাংকের এএমডি ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমানসহ।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নির্ভরযোগ্য এবং দায়িত্বশীল বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার জন্য করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সভার শুরুতে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থার বিবেচনায় সবাইকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দেশের প্রাইভেট সেক্টর হতে প্রতিবছর ২৭ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ দরকার।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে বন্ড মার্কেট দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের যোগানে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশের বাজারেও এর জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা। দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বন্ড বাজারকে আরও টেকসই রূপ দেওয়া এবং বন্ডের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের সম্ভবনাকে কাজে লাগানোর কথা বলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
বন্ড ইস্যুর প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান নানা সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সহজ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও বন্ড মার্কেট জনপ্রিয় না হওয়ার পেছনের কারণ এবং বিদ্যামান সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে সভায় সকলে মতামত দেন।
দেশের পুঁজিবাজারে শক্তিশালী বন্ডের বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের চিহ্ণিত করে তাদের বন্ডে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে হবে। এছাড়াও বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থায়নের সুযোগ কাজে লাগাতে সচেতন ও আগ্রহী করতে কাজ করতে হবে বলে মতামত জানান আলোচকরা।