দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'সময় বদলে গেছে, যারা মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে, হরতাল-অবরোধের রাজনীতি করে, গাড়ি ভাংচুর করে সেই বিএনপির সাথে এখন আর বিদেশিরাও নেই। সরকারের কঠোর অবস্থান এবং আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার প্রেক্ষিতে বিএনপি এখন সুবোধ বালকের মতো আচরণ করছে।'

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি এখন লিফলেট বিতরণ এবং হাঁটা কর্মসূচি দিয়েছে। সম্ভবত এরপর দৌড়ানো অথবা বসা কর্মসূচি দেবে। তবে, তারা যদি মানুষকে হয়রানি, গাড়ি পোড়ানো বা সহায়-সম্পত্তি নষ্টের অপচেষ্টা চালায় আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।'

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পার্থক্য তুলে ধরতে গিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'খালেদা জিয়ার জঙ্গি বাহিনী ১৭ই আগস্ট সারা দেশের পাঁচ’শ জায়গায় বোমা ফাটিয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ’শ ষাট জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করেন। আমরা নতুন নতুন মসজিদ বানাই আর তারা বাইতুল মুকাররমে কোরআন শরীফ পোড়ায়। আমরা স্কুলের বাচ্চাদের বিনামূল্যে বই দেই, আর ওরা বই পোড়ায়, গাড়ি ও মানুষ পোড়ায়। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির পার্থক্য।'

বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন। তার জাদুকরী নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্ব আজ আমাদের প্রশংসা করছে, পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, 'সারা দেশের মানুষ যখন ঘুমান, তখন শেখ হাসিনা কাজ করেন। যখনই কোন দুর্যোগ দূর্বিপাক হয় শেখ হাসিনা ঘুমান না। এইভাবে তিনি দেশকে করোনামুক্ত করেছেন, করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে তিনি পৃথিবীর কাছে উদাহরণ।'

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, জহির আহমেদ চৌধুরী, আবুল কাশেম চিশতি, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইকবাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরো, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, শফিউল আলম, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ ।