দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভ্যাট লিমিটেডকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শুক্রবার রাতে (১৮ আগস্ট) ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, মার্শাল অ্যাগ্রো সিঙ্গাপুর থেকে বিটিআই আমদানির দাবি করলেও সেখানকার প্রতিষ্ঠান তা অস্বীকার করে। পরে গত ১৪ আগস্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় ডিএনসিসি।

চিঠির জবাবে গত বৃহস্পতিবার মর্শাল জানায়, বিটিআই তারা চীনের একটি কোম্পানীর মাধ্যমে সরবরাহ করেছে। কিন্তু মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের এই ব্যাখ্যার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কোনো কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি। এর ফলে তাদের ব্যাখ্য গ্রহণ করেনি সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি বিটিআই সরবরাহের ক্রয় আদেশও বাতিল করেছে ডিএনসিসি।

বিষয়টি তদন্তে ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ আগষ্ট এক অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুর থেকে ৫ টন বিটিআই আনার কথা জানিয়েছিলো ডিএনসিসি। একইসঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে এর প্রয়োগও শুরু করা হয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে বিটিআই আমাদানিতে জালিয়াতির খবর প্রকাশ করা হয়। যেখানে সিঙ্গাপুরের কোম্পানী বেস্ট কেমিক্যাল লিমিটেড বাংলাদেশের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে তাদের উৎপাদিতক কোনো বিটিআই সরবরাহ করেনি বলে জানায়। একইসঙ্গে ডিএনসিসির কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে ৭ আগস্ট বেস্ট কেমিক্যালের যে প্রতিনিধিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওই ব্যক্তির সঙ্গেও তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়। তাছাড়া সরবরাহাকরী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এ সংক্রান্ত একটি বার্তা কোম্পানীটির ফেসবুক পেইজেও দেওয়া হয়। যেখানে প্রতারণামূলকভাবে তাদের নাম ব্যবহারের কারণে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়।

এমন জালিয়াতির বিষয় সামনে আসার পর নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।