২১শে আগস্ট সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক: মির্জা ফখরুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
র আগে আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে দলের অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ২১ আগস্ট সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক। তারা যেখানে সভা করতে চেয়েছিল সেখানে করেনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের নাম জড়ানো হয়েছে। ২১ আগস্টের ঘটনায়তো পুরো তদন্তের কোথাও তারেক রহমানের নাম উল্লেখ ছিলোনা। তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাহার আকন্দ যিনি পরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। তার তদন্তেও তারেক রহমানের নাম উল্লেখ ছিলো না। একমাত্র মুফতি হান্নানকে ৪৫ দিন আটকে রেখে জোর করে জবানবন্দি নেয়া হয়। তবে তিনি যেনো আদালতে গিয়ে কোনো কিছু বলতে না পারেন সেজন্য অন্য মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। সুতরাং এখানে তারেক রহমান, আব্দুস সালাম পিন্টু ও লুৎফুজ্জামান বাবর কেউই এখানে জড়িত নন। বরং এই ঘটনার আরও সঠিক তদন্ত দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বারবার বিএনপির ওপর আঘাত এসেছে। বহু ষড়যন্ত্র চলছে। দলকে ভেঙে ফেলা ও ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু বিএনপির অগ্রযাত্রা থামানো যায়নি। কারণ বিএনপি হলো স্রোতস্বিনী ও প্রবাহমান নদী। এখানে কেউ এসেছে কেউ চলে গেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা এখনো রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়নি। আমরা জনগণের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি। তাদের নিয়েই আমরা আছি। আজকে দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। সেই বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এধরনের কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমেরিকার কেউ স্বীকার করেনি। ভারতেরও কেউ স্বীকার করেনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্যান্যবারের মতো আগামী ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সময়মতো আলোচনা সভা করা হবে। পোস্টার প্রকাশ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হবে। বিস্তারিত কর্মসূচি আজ সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনায় চূড়ান্ত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।