দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলন। সম্মেলনে ব্রিকসভুক্ত পাঁচ দেশ (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার) ছাড়াও যোগ দেবেন কয়েক ডজন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা।

 

ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের বিষয়ে গুঞ্জন চললেও, প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিতে এ বৈঠকের উল্লেখ নেই।

সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ও মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

এদিকে নরেন্দ্র মোদির সফরসূচি এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি বলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা সোমবার (২১ আগস্ট) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আয়োজক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে অনেক দেশের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়সূচি এখনো তৈরি হচ্ছে।

অর্থাৎ, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার একটি বৈঠকের বিষয়ে যে আলোচনা চলছিল, তা এখনো আলোচনার মধ্যেই রয়েছে।

তবে ব্রিকস সম্মেলনে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক না হলেও, সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেওয়ার কথা আছে। ওই সফরে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে।

এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জোহানেসবার্গের চেয়ে নয়াদিল্লি ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।