নারী ফুটবলারকে চুমু, ক্ষমা চাইলেন স্পেনের বোর্ড প্রধান
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নারী ফুটবলের নতুর রাণী স্পেন। ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করেছে স্পেনের মেয়েরা। কিন্তু নারী বিশ্বকাপের পর্দা নামার পর সাফল্যের চেয়ে একটি চুমুর ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছিলো বিতর্ক। বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রধান লুইস রুবিয়ালস শিরোপা মঞ্চে আনন্দের আতিশয্যে চুমু দিয়ে বসেন এক নারী ফুটবলারকে। অবশেষে সমালোচনার মুখে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
রোববার (২০ আগস্ট) স্পেন ও ইংল্যান্ড নারী ফুটবল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০২৩ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া সিডনির স্টেডিয়ামে শেষ বাঁশি বাজার পরই আনন্দ-উদযাপনে মাতেন স্প্যানিশ ফুটবলারেরা। শিরোপা নিশ্চিতের পর পুরস্কার নিতে যখন নারী দলের ফুটবলাররা একে একে স্টেজে উঠছিলেন, সে সময় সকলকেই জড়িয়ে ধরে চুমু দিচ্ছিলেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এ সময় আনন্দে আপ্লুত হয়ে কয়েকজনকে কোলেও তুলে নেন তিনি। স্পেনের সংস্কৃতি অনুযায়ী যা অতি স্বাভাবিক দৃশ্য। মুহূর্তে এই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছিলো।
সোমবার (২১ আগস্ট) চুমুর ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে রুবিয়ালেস বলেন, ‘এখানে বাজে কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তখন বেশ রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমরা এটাকে (চুমু) স্বাভাবিকভাবে নিয়েছি। তবে এটা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। আমি পুরোপুরি ভুল ছিলাম। এটা স্বীকার করতেই হচ্ছে।’ অবশ্য এই ঘটনা নিয়ে হারমোসো অস্বস্তি প্রকাশ না করলেও বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন। পরে একটি লাইভ স্ট্রিমিংয়ে হারমোসো বলেন, আমি এটি উপভোগ করিনি, তবে এটি ছিলো স্নেহ প্রদর্শনের জন্য স্বাভাবিক আলিঙ্গন। বিশ্বকাপের মতো এত বড় একটি অর্জনের আনন্দ থেকেই এমনটা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সভাপতির সঙ্গে আমার এবং দলের সবারই দুর্দান্ত সম্পর্ক। আমাদের সবার সঙ্গে তার আচরণ অসামান্য এবং এটি আসলেই স্নেহ এবং কৃতজ্ঞতার একটি স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ ছিলো মাত্র। ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দুই দলের পুরুষ ও নারী-দুই দলের বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড আছে। জার্মানির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে এই কীর্তি করেছে স্পেন। ২০১০ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেনের পুরুষ দল। আর ২০২৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতল স্পেনের মহিলা দল। এবার আন্দ্রে ইনিয়েস্তা হলেন ওলগা কারমানো।