এক মাসেই ৪৪ কোটি টাকা জালিয়াতি করেছে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তারা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অগ্রণী ব্যাংকের শুধু জুলাই মাসেরই অর্থ আত্মসাৎ, চুরি,ডাকাতি ইত্যাদি সংক্রান্ত ঘটনার মাসিক প্রতিবেদনে ৪৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার সম্পৃত্ততা পাওয়া গেছে ।
অগ্রণী ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ মুরশেদুল কবীর স্বাক্ষরিত এই অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতগ্রস্ত ৫৫৯ জন কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । আর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বেতন স্থগিত করা হয়েছে ১৮৮ জনের আর বহিস্কৃত হয়েছে মাত্র ২০ জন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অগ্রণী ব্যাংকের গাজীপুর কর্পোরেট শাখার ই-জিপি সিষ্টেমে টেন্ডার সিকিউিরিটি ও পারফমেন্স সিকিউিরিটি ইস্যু করণের অনিয়ম ও নথি জালিয়াতের মাধ্যমে এক কোটি উনচল্লিশ লক্ষ সাতাইশ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ওই শাখার সিনিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ আবু তাহের এবং প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী তৌহিদুল ইসলাম বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের কামরাঙ্গীরচর শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার নথি জালিয়াতের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা ভল্টে ঘাটতি রেখে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানানো হয়। সরকারী ব্যাংকটির পর্ষদ সেই আত্মসাৎকৃত অর্থ সম্পূর্ণরুপে আদায় করেছে।
এদিকে খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংকটির ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কর্পোরেট শাখার খেলাপি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফিনিক্স লেদার কমপ্লেক্স (প্রা.) লিমিটেডের পরিচালক শেখ খাজাউদ্দিন গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৪২ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্যে গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এ অর্থজারী মোকদ্দমা নং- ১৭/২০২৩ দায়ের করে অগ্রণী ব্যাংক।
ওই মামলায় আদালত গত ২৫ মে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ৩৪(১) ধারায় মেসার্স ফিনিক্স লেদার কমপ্লেক্স (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান রওশন আরা রহমান গংদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জুলাই ধানমন্ডি থানা পুলিশ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শেখ খাজাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।