দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে টানা ৩০ মিনিটের মতো হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কোর্টে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান।

আজ সোমবার সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটেছে।

বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করছেন। তবে এজলাস কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী কামরুল ইসলাম, আইনজীবী সানজিদা খানম ও আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনাসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। অন্যদিকে তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।

জানা গেছে, তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানের আবেদন গ্রহণের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের পক্ষের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন। একপর্যায়ে তারেক রহমানের আইনজীবীরা আদালতকে জ্যেষ্ঠ বিচারপতির উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার প্রতি আমাদের অনাস্থার বিষয়টি প্রধান বিচারপতির বরাবর দিয়েছি। এই অবস্থায় আপনি এ বিষয়ে আদেশ দিতে পারেন না।’

এ সময় তারা ‘শেইম’ ‘শেইম’ বলে চিৎকার করেন। এ ছাড়া বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, ‘আপনি অবিচার করতে পারেন না।’

এ সময় আদালতে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা তারেকের পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।একপর্যায়ে আদালতের দুই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এরপরও দুই পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে অবস্থান করেন।

এর আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদনের শুনানি হয়। আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ আবেদন করেন।

শুনানি শেষে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) -কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানান বিএনপির আইনজীবীরা।

গত ২২ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।