যক্ষ্মায় দেশে প্রতি বছর মারা যায় ৪২ হাজার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ যক্ষ্মা (টিবি)। এখনও রোগটিতে প্রতিবছর ৪২ হাজার মানুষ মারা যায়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যক্ষ্মা রোধে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও টিবির প্রোগ্রাম পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান এসব তথ্য তুলে ধরেন। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া হলে আয়োজিত টিবি প্রাইভেট-পাবলিক মিক্স (পিপিএম) স্ট্যাক হোল্ডারসদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. আফজালুর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মাঝে টিবির মৃত্যুহার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাহলে এসডিজি গোল অর্জন সম্ভব হবে। এ ছাড়া ২০২০ সালের মাঝে টিবিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। এ হাড় ৫০ শতাংশে আনতে হবে ২০২৫ সালের মধ্যে।
তবে সরকার ২০২৫ সালের মাঝে টিবির মৃত্যুহার ৭৫ ভাগে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে ২০২০ সাল পর্যন্ত টিবির মৃত্যুহার পূর্বের তুলনায় কমিয়ে আনা হয়েছে ৩৫ ভাগে। ৭৫ ভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সময় আছে মাত্র দুই বছর। এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কতটুকু সম্ভব হব তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য মতে, ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে টিবি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার। এদের মাঝে ৩ লাখ ৭ হাজার ৫৬১ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হলেও ৬৭ হাজার ৪৩৯ জন শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নেননি। টিবি আক্রান্ত রোগীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পুরুষ ৫৪ শতাংশ। এ ছাড়া নারী আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ শতাংশ ও শিশু আক্রান্ত হয়েছে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া ৪ হাজার ৫০০ জন রোগী মেডিসিন প্রতিরোধযোগ্য টিবিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরীসহ অনেকে।