দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্ররেচণায় পড়েও সচিবালয় এলাকায় বিশৃঙ্খলা- ধর্মঘট- কর্মবিরতি না করায় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই ধন্যবাদ জানান। এ সময় নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসের কড়া সমালোচনাও করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে,তারাই এখন গণতন্ত্র নাকি পুনরুদ্ধার করবে। তারা মুখ দিয়ে মুখচ্ছবি আড়াল করতে চায়। এ সরকার থাকতে তা সফল হতে দেয়া হবে না

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে বিএনপি নির্বাচনের পরিবেশ ভন্ডুল করার খেলা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ খেলা খেলতে দেয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গোলাপবাগে আন্দোলন গরুর হাটে হোঁচট খেয়ে ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছেন। তারা ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছেন। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠনের খায়েশ কিনা জানি না। এ দেশ নিয়ে বিশ্বে অনেক মোড়ল দেশের মাথাব্যথা। বঙ্গবন্ধ হত্যার পর এরা শোকও প্রকাশ করেনি।

ডক্টর ইউনূস কখনো শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধে যায় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভয়াবহ করোনার সময়েও কথা বলেনি। যে মানুষ বাংলাদেশের সুখে দুখে নেই তার জন্য এত মায়াকান্না, শ্রেষ্ট মানুষ বলে এত দরদ কেন? প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের

তিনি বলেন, নোবেল পেলেই অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন সেটা কোন আইনে আছে। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেছে, এ মামলা করেছে শ্রমিকরা। শ্রমিকের টাকা মেরে খেয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন, এসব নিয়ে মামলা হয়েছে। এ নিয়ে যারা বিবৃতি দিয়েছে, এ বিবৃতি যে স্পেসে দেয়া হয়েছে সেটা কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লাগে। বিজ্ঞাপনের এ অর্থ কোত্থেকে এলো সেটা আমাদের জিজ্ঞাসা।

ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন তুলে বলেন, ড. ইউনূস আমাদের সাথে নাই আমরা কেন তার সাথে থাকবো? কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। ভাল মানুষ, সোস্যাল বিজনেস করেন, শ্রমিকের টাকা মেরে খায় তার মামলা স্থগিত কেন করবো তার জবাব বিশ্বনেতারা দেবেন কী?

চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েও বিএনপি মহাসচিবের দলীয় কাজে ব্যস্থ থাকারও সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, বিএনপি মহাসচিব চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রতিদিন আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। অথচ আমি চিকিৎসা নিতে গিয়ে কোনো বিবৃতি দেইনি।