তিনি থাকলে আমি মামলা লড়বো না: অ্যাডভোকেট খুরশীদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করতে গত সপ্তাহে সৈয়দ হায়দার আলীকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান বলেছেন, আমি আমার মত করে মামলাটির যুক্তিতর্ক ও শুনানি করি। এতে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমি মক্কেলকে বলেছি, তিনি (হায়দার আলী) থাকলে আমি মামলা লড়বো না।
জানা গেছে, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে তিনি একাই আইনি লড়াই করে আসছিলেন। কিন্তু বিচারের মাঝপথে এসে এই মামলায় কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীকে। যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করছেন। এতেই সন্তুষ্ট নন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান জানান, শুরু থেকে এই মামলাটি আমি করে আসছি। শুধু শ্রম আদালত নয়, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে আমি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি করে এ পর্যাযে নিয়ে এসেছি। এখন আমি মামলাটি একাই করতে চাই। তবে ক্লায়েন্টকে বলেছি, আমাকে না হয় তাকে যেকোনো একজনকে রাখবেন। দু’জনকে রাখলে আমি থাকবো না। এর আগে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আরও ১৮টি মামলা হয়েছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। গত ২৮ আগস্ট ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন শ্রমিক বাদী হয়ে পৃথকভাবে মামলাগুলো করেন। শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ড. ইউনূসকে হাজির হয়ে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোট ২১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ টাকা পাওনা পরিশোধ না করায় শ্রম আইন ২০০৬-এর ২১৩ ধারা লঙ্ঘিত হওয়ায় এ মামলাগুলো করেন বাদীরা। গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৭ জন ও বর্তমান একজন কর্মচারী এসব মামলার বাদী।