দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  বাংলাদেশের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে প্রতিবেশী দেশ ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশ্ব মোড়লদের উপস্থিতির কারণে এটি বেশ গুরুত্ব বহন করছে বাংলাদেশের কাছেও। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সেরা জৌলুসপূর্ণ ওই আয়োজনে যোগদান শেষে ফেরার পথে ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যক্রো। আর এতে যোগদানের পথে ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ২০ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এরই মধ্যে সময়ের টানাপোড়েনে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।

অবশেষে তারিখ ঠিক হয়েছে মোদি-হাসিনার এই কাঙ্খিত বৈঠকের। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি হতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।

হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ১১ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বাংলাদেশ সফরে আসছে ১০ সেপ্টেম্বর। তাই ৮ সেপ্টেম্বর মোদির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ। ভারত সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী মোদির দপ্তর তাতে সম্মতি দিয়েছে। তবে তারিখ নির্ধারণ হলেও বৈঠকের সময় এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটাই হবে শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। সে কারণে এ বৈঠক নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দুই দেশেই রয়েছে। কিন্তু বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি কিংবা প্রকল্পকেন্দ্রিক বিশেষ বোঝাপড়া কী হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। যদিও কিছুদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে ‘ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’ ও দুই দেশের বাণিজ্য রুপিতে করার জন্য ‘জিটুজি রুপি লোন’ নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া তিস্তা প্রসঙ্গ, বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতীয় ঋণের জটিলতা নিরসনের বিষয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হতে পারে।উল্লেখ্য, এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আয়োজক রাষ্ট্র ভারত।