দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খুব শিগগিরই আফ্রিকার কিছু দেশে আমরা (বাংলাদেশ) ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ ও এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ শিফট করতে যাচ্ছি। মারিশাসকে কেন্দ্র করে আফ্রিকার ১৪০ কোটি মানুষকে টার্গেট করে আমরা কাজ করবো।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এসব কথা বলেন।

ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিনা শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল মোনায়েম এবং কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাশিহুল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যা পড়ি তার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্র্যাকটিক্যাল কাজের অনেক পার্থক্য রয়েছে। ইথিকস নিয়ে আমরা যেভাবে কাজ করতে চাই, বাস্তবতার নিরিখে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ওয়ার্ল্ডওয়াইড জিও পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজি অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগে দেশের মন্ত্রীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতেন বড় বড় ডোনেশন আনতে। যে মন্ত্রী যত বেশি বিদেশি সাহায্য আনতে পারতেন, তার ক্রেডিট তত বেশি হতো। বিশ্বের অনেক দেশ এখনো আমাদের বন্যা-খরা পীড়িত দারিদ্র্য দেশ হিসেবেই জানে। আমাদের দেশের কিছু পলিটিক্যাল মানুষ দেশের বিরুদ্ধেই বিদেশিদের কাছে বদনাম করে। এজন্য বিদেশিরাও আমাদের ছোট করে দেখে।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা যখন বিদেশিদের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলি তাঁরা অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। পরে গুগলে অনুসন্ধান করে দেখে বিশ্বাস করে। আগামী মাসে আমরা প্যারিস, তুলুজ, বার্লিন এবং ফ্রাঙ্কফুর্টে ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন করছি। এ সামিটে ওসব দেশের দূতাবাসগুলো আমাদের সহযোগিতা করছে। একসময় আমরা প্যারিসে সাহায্য নিতে যেতাম। আর এখন আমরা সেখানে বিসনেস পার্টনার খুঁজতে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনো মিশন ভিশন ফেইল করেনি। আমরা যখন দারিদ্র্য দেশ ছিলাম তখন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ পরিশোধে আমরা ব্যর্থ হইনি। ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জনের যেই লক্ষ্য সেটিতেই আমরা ব্যর্থ হবো না।