আমির হামজা, দ্য রিপোর্ট: শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ আমদানির বিশেষ অনুমতি চেয়েছে কলকাতার মাছ আমদানিকারক  এসোসিয়েশন।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন আন্দালিব ইলিয়াসকে মাছ আমদানিকারক এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ গত সপ্তাহে এক চিঠি দিয়ে এ বিশেষ অনুমতি চেয়েছেন।

কলকাতাস্থ মাছ আমদানিকারক এসোসিয়েশন ইলিশ মাছ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অনুমতি আমদানির জন্য দূর্গা পূজার আগে ৬০ দিন সময় চেয়েছে ।চিঠিতে বলা হয়েছে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় । ভারতে বিশেষ করে কলকাতায় মাত্র প্রতি বছর ৫০০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হতো।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে,বাংলাদেশ ইলিশ মাছের ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর ৫০০০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ সাগরে ফেলে দেয় । সুতরা ভারতে মাছ রপ্তানি করলে কোনভাবেই বাংলাদেশে ইলিশ মাছের সরবরাহ কমে যাবে না ।হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গা পূজা অক্টোবর ২৪ তারিখে শুরু হবে।

এদিকে এখন পর্ষন্ত দেশের প্রায় ১০০ ইলিশ মাছ রপ্তানিকারকরা রপ্তানির অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ৫০ জন রপ্তানিকারকে এ সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন চলতি মাসের ১৫ তারিখে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি সংক্রান্ত বৈঠক হতে পারে এবং ২০ তারিখের মধ্যে দেশ থেকে ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হবে । তবে কলকাতার মাছ আমদানিকারক এ অনুমতি দিবে কি না এ বিষয়ে বৈঠকে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বছর ২০২২ সালে শারদীয় দুর্গা উৎসব উপলক্ষে ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন । ২০২১ সালে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি অনুমতি দিয়েছিল ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন রপ্তানি করা হয়েছিল মাত্র ১২০০ মেট্রিক টন। ২০২০ সালে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি অনুমতি দিয়েছিল ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন রপ্তানি করা হয়েছিল একই পরিমাণ ইলিশ মাছ । ২০১৯ সালে রপ্তানি হয়েছিল ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ।

গত বছর ৫ সেপ্টেম্বরর ইলিশ মাছ রপ্তানির ঘোষণা দিলেও ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ কার্যকর ছিল।ইলিশ রপ্তানিতে শর্ত দেয়া হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে। প্রতিটি কনসাইনমেন্ট রপ্তানি শেষে রপ্তানিসংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাবকন্ট্রাক্টে এই রপ্তানি করা যাবে না। আবার সরকার প্রয়োজন মনে করলে রপ্তানির এই আদেশ যেকোনো সময় বন্ধও করতে পারবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে বলে অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছিল।

(দ্য রিপোর্ট/ আ হা / মাহা/ সাত সেপ্টেম্বর দুইহাজার তেইশ)