দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি তার পরিবারসহ ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিচ্ছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে একটি ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে তার বর্তমান অবস্থা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

ওই ক্ষুদেবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। বাইরে পুলিশ। আজকে আমাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে ........। আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন যাবত অনবরত হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে। আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ ৩টা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার ৩ মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে তিনি মার্কিন দূতাবাসে যান। তার সঙ্গে দুই সন্তান ও স্ত্রীও রয়েছে।

এদিকে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শুক্রবার বিকালে জানিয়েছেন, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তিনি পরিবারকে নিয়ে আশ্রয়ের জন্য আমেরিকান দূতাবাসে গেছেন।

পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে এমরান ভূঁইয়া শুক্রবার বিকালে জানান, বেশ কিছু হুমকি-ধামকি পেয়েছেন। দেশে তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই আশ্রয়ের জন্য আমেরিকান দূতাবাসে আছেন।

এর আগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুযায়ী এ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। শুক্রবার সকালে এমরান আহম্মদকে বরখাস্তের বিষয়টি জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২–এর ৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগ আদেশ জনস্বার্থে বাতিলক্রমে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

এর আগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রের দেড় শতাধিক ব্যক্তি। এর প্রেক্ষিতে ওই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবীদের থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে- এমন দাবি করে এমরান বলেছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।

গত সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। তিনি বলেন, আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।