নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টার
২০০৩ সালের ইরাক অভিযানের কারণে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের কঠোর সমালোচকে পরিণত হন৷ তার নোবেল বক্তৃতাটিও ছিল সাম্রাজ্যবাদবিরোধী। এছাড়া তিনি পরমাণু নিরস্ত্রিকরণের পক্ষেও সরব ছিলেন৷
পূর্ব লন্ডনের হেকনিতে এক ইহুদী শ্রমজীবী পরিবারে পিন্টারের জন্ম৷ হেকনি ডাউনস স্কুলে তার পড়ালেখার শুরু। অল্প বয়সেই স্কুলের নাটকে অংশ নেন তিনি। রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামায় ভর্তি হয়েও তিনি কোর্স শেষ করতে পারেননি। পরে প্রশিক্ষণ নেন সেন্ট্রাল স্কুল অব স্পিচ এন্ড ড্রামা’য়। নাটকে তার পেশাদারি যাত্রা শুরু ১৯৫১ সালে। তিনি কাজ করেন ব্রিটিশ ও আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন থিয়েটারে। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তার একের পর এক নাট্যকর্ম বৃটিশ থিয়েটারের আদলটাই পাল্টে দেয়৷ বৃটিশ নাট্যকারদের একটি গোটা প্রজন্ম তার কাজ থেকে প্রভাবিত হয়েছেন৷
৫০ বছরেরও অধিক সময়ের লেখালেখির জীবনে পিন্টার ২৯টি মঞ্চ নাটক, ২৭টি চিত্রনাট্য, বহু বেতার ও টিভি নাটকসহ কবিতা ও একটি উপন্যাস রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে দি বার্থডে পার্টি, দি কেয়ারটেকার, দি হোমকামিং ও বিট্রেয়াল।
অভিনেত্রী ভিভিয়েন গার্চেন্ট ছিলেন পিন্টারের প্রথম স্ত্রী। পরবর্তীতে তিনি লেখিকা অ্যান্টোনিয়া ফ্রেজারকে বিয়ে করেছিলেন। জীবনে শেষ পর্যায়ে পিন্টারের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি ওয়েস্ট লন্ডনে পরলোকগমন করেন।
(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/জেএম/অক্টোবর ১০, ২০১৩)